যুগে যুগে এসে চলে যায়
রেখে যায় মায়া,
অভাবনীয় দুঃখ আর
বেদনার ছায়া।
ধরা মাঝে আগমনে
ধ্যানে হয় ধন্য
ভবো মাঝে দেখি তাঁদের
করে কোন পূন্য।
কত ভাবে দেখায় তাঁরা
নিজের প্রতিভা,
মরেও মরে না কবু
অম্লান সবই তা।
বিদুষী গিরিজা দেবী যাকে ঠুমরির রানী বলে অবহিত করা হয়। বাংলাদেশে ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব’-এ তিনবার গাইতে এসেছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী বিদুষী গিরিজা দেবী। এই তো গত বছরের নভেম্বর মাসে এ উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশনের পর সঙ্গীত জীবন থেকে অবসরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কি দূর্ভাগ্য জীবন থেকেই অবসর নিয়ে নিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার শুধু সঙ্গীত না পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন এই ‘ঠুমরি রানি’। সেনিয়া-বেনারস ঘরানার এই শিল্পীর বিদায়ে শোকাহত সঙ্গীত অঙ্গন। ফেসবুক ও টুইটারে শোকবার্তা জানিয়েছেন বিভিন্ন শিল্পীরা। সব শিল্পীরাই বলছেন যে তারা গিরিজা দেবীর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। সবাই তার আত্নার শান্তি কামনা করেছেন। ওস্তাদ আমজাদ আলী খান, তার ফেসবুক স্টেটাস এ লিখেন সরোদ শিল্পী গিরিজা দেবী আমার হাতে রাখি বেঁধে দিয়েছিলেন। আমার বাবা ওস্তাদ হাফিজ আলী খান স্মৃতি উৎসবে চমৎকার পরিবেশন করেছিলেন তিনি। আমরা একসঙ্গে কলকাতা ও ব্রাসেলসে গান করেছি। ২০০৫ সালে সেটি একটি এ্যালবাম হিসেবেও বের হয়। ঠুমরি হৃদয় দিয়ে গাইতে হয়। গিরিজা দেবী ছিলেন সেই গায়কির শেষ মহান শিল্পী। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের তার সম্পর্কে বলেছেন তিনি খুব সাধারণ মানুষ ছিলেন। খুব ভালো একটা মানুষ ছিলেন। আমরা একজন মহান শিল্পীকে হারিয়েছি। সবার সাথে সঙ্গীতাঙ্গন ও বলছে গিরিজা দেবী একজন মহান শিল্পী ছিলেন। ঈশ্বর তার আত্নার শান্তি দান করুক এই কামনায়। – মোঃ মোশারফ হোসেন মুন্না
Be First to Comment